কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের মামলায় রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ (৩৩) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় আরও দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রাজু মোল্লা (২৬) এবং শরিফুল ইসলাম (৩১) উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসাদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দত্তপাড়া গ্রামের খন্দকার ইউনুছ আলীর ছেলে। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজনের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি গ্রামের বাসিন্দা অটোরিকশাচালক সুজন সিকদার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায়
খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। পরের দিন সকালে ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের হাশেম আলীর লিচু বাগান থেকে সুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আলমগীর সিকদার ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ পরিদর্শক মহানন্দ সিং ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা সুজন সিকদারের অটোরিকশা ভাড়া করে। পরে ভেড়ামারায় তাকে ধারালো দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা।